This is the beginning of the project that I christen: “Translate the AwesYumm”. If you do not read Bangla, read “Cirque du Freak – A Living Nightmare” in English. Various introductions (yes, many introductions) in Bangla follow.
.
.
.
লেখক পরিচিতিঃ
ড্যারেন শ্যান একজন আইরিশ লেখক। জন্ম ২রা জুলাই ১৯৭২ সালে লন্ডনে। ড্যারেন শ্যান তাঁর ছদ্ম নাম। আসল নাম Darren O’Shaughnessy। তিনি লন্ডনের রোহাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী এবং সমাজ বিজ্ঞানে ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি ১৪ বছর বয়সে প্রথম টাইপ রাইটার কিনে লেখা শুরু করেন, ১৫ বছর বয়সে টিভি স্ক্রিপট লেখা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৭ বছর বয়সে প্রথম নভেল (অপ্রকাশিত) লেখেন। শিশুদের জন্য লেখা তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ, ‘সাগা অফ ড্যারেন শ্যা্ন’ জানুয়ারী ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়।এই সিরিজের সবথেকে জনপ্রিয় ট্রাইলজি ‘দ্যা ভ্যাম্পায়ারস এসিস্ট্যান্ট’। আমার অনুবাদের জন্য নির্বাচিত গল্পটি এই ট্রাইলজির প্রথম বই।
তাঁর লেখা ভ্যাম্পায়ার চরিত্র নিয়ে জাপানিজ শিল্পী তাকাহিরো আরাই সফল ভাবে জাপানিজ কার্টুনের বই, মাংগা, তৈরী করেন (নামঃ সার্ক দু ফ্রিক)। প্রথমে এটা জাপানের জন্য নির্মিত হলেও এখন আমেরিকা, যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। ২০১০ সালের মধ্যে তার বই বিশ্বের প্রায় ৩৯টি দেশে ৩১টি ভাষায় প্রকাশিত হয়। তাঁর কিশোর সাহিত্য আমেরিকা, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে এবং বিশ্বের অন্য আরো অনেক দেশেই বেস্ট সেলার।
সার্ক দু ফ্রিকঃ দ্যা ভ্যাম্পায়ারস এসিস্টেন্ট মুভিটি, এই বই থেকেই করা।
আমার কথাঃ
ছোট বেলায় গল্পের বই পড়তে গেলেই অল্প কিছু বইয়ের মাঝে নিজেকে সীমিত রাখতে হত। ঠাকুরমার ঝুলির সব রসদ শেষ হবার পর শুকুমার রায়ের শিশু সাহিত্য সঙ্কলন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের শিশু সমগ্র শেষ করে দেখি, খুব বেশি হলে হুমায়ুন আহমেদ অথবা জাফর ইকবালের কিছু বই। এর বাইরে বেশীর ভাগই ছিল বড়দের প্রেমের উপন্যাস, অথবা এমন বিষয়-বস্তু নিয়ে লেখা, যাতে কিশোরী-উৎসাহ অতি অল্পেই ধুলিস্যাত হোত। মনে আছে ক্লাশ সিক্স-সেভেনে থাকতে, পড়ার কিছু খুঁজে না পেয়ে বাসার পুরোনো বিসিএস গাইডের রচনা এবং ইতিহাস সেকশনও পড়েছি।
কিছুটা বড় হবার পর আবার যখন ইংরেজী ফ্যান্টাসী গল্প পড়া শুরু করলাম, মনে হল যে আসলেই জিনিষটা ভালো। হ্যা, ক্রনিকল অফ নার্নিয়া এবং হ্যারি পটারের কথা বলছি। ইচ্ছে ছিল সেগুলোর কিছু অনুবাদ করার। বিধি বাম। প্রচুর পড়ার চাপ এবং ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ধান্দায় সমস্ত ইচ্ছা মাঠে মারা পড়ে।
অল্প ক’দিন আগে একগাদা ফ্যান্টাসী ই-বুক হাতে আসে এবং “সার্ক দ্যু ফ্রিক” নামটা ভালো লাগে। গল্প পড়ে দেখি, বাংলায় যেমন বই পড়তে চাইতাম, ঠিক তেমন বই। পড়তে পড়তে নিজেকেই ‘ড্যারেন’ ভাবতে শুরু করেছিলাম। মনে পড়ল ছোটবেলার কথা।
আমার এই অনুবাদ ক্ষুদে গল্প পড়ুয়াদের উপহার দিতে চাই। এই গল্পের প্রোটাগনিস্ট ঠিক ওদের মতনই কিশোর, এবং গল্পটা সহজ এবং অনাড়ম্বর ভাষায় ঠিক ওদের মত করে লেখা।
অনুবাদ শুরু করলাম। পড়ার চাপে খুব দ্রুত না এগোতে পারলেও, পিচ্চি-পাচ্চা পড়ুয়াদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি এই বইটি বাংলায় অনুবাদের কাজ শেষ করতে চাই।
.
.
.
একটি জিবন্ত দুঃস্বপ্ন
মুল গল্পঃ ড্যারেন শ্যান
ভুমিকা
মাকড়শাদের প্রতি সবসময়ই আমার একটা প্রবল আকর্ষন ছিল। ছোটবেলায় আমি মাকড়শা সংগ্রহ করতাম। বাগানের পেছন দিকের পুরনো ধুলো জমা ছাউনীর নিচে এই সব আট পেয়ো শিকারীদের ধরার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে মাকড়শাদের জাল ঘাটাঘাটি করতাম। কোন একটাকে খুঁজে পেলেই ধরে এনে আমার ঘরে ছেড়ে দিতাম।
এতে আমার মা ভীষন খাপ্পা হয়ে থাকতেন।
সাধারণতঃ মাকড়শারা দু’এক দিনের মধ্যেই পালিয়ে যেত এবং তারপর আর কখনই তাদের দেখা মিলত না। কিন্তু কখনো কখনো দু’একটা বেশী দিনও থেকে যেত। একবার একটা মাকড়শা আমার বিছানার ঠিক উপরে জাল বুনে সেখানে প্রায় এক মাস চুপচাপ বসে ছিল। ঘুমাতে গিয়ে আমি প্রায়ই কল্পনা করতাম মাকড়শাটা ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসছে, আমার মুখের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে, গলা দিয়ে পিছলে নেমে পেটের মধ্যে ডিম পাড়ছে। কিছুদিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা মাকড়শারা বের হয়ে আমাকে জিবন্ত ভেতর থেকেই খেতে শুরু করে দিয়েছে।
ছোট বেলায় আমি ভয় পেতে ভীষন ভালোবাসতাম।
আমার যখন নয় বছর বয়স, তখন আব্বু-আম্মু আমাকে এইটা ছোট্ট ট্যারানটুলা দিয়েছিল। যদিও ওটা খুব বড় অথবা বিষাক্ত ছিলনা, কিন্তু সেটা ছিল আমার সারা জিবনে পাওয়া উপহারের মাঝে সেরা। দিনের মধ্যে যতক্ষন জেগে থাকতাম, তার প্রায় পুরোটা সময়ই আমি ওই মাকড়শার সাথে খেলতাম। ছোট পোকা, মাছি এবং তেলাপোকা ধরে এনে খেতে দিতাম-ওকে অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিতাম।
তারপর এক দিন। আমি একটা মহা বোকার মত কাজ করলাম। কার্টুনে দেখেছিলাম যে একজনকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের ভিতরে টেনে নেয়া হয়েছে, কিন্তু তাতে ঐ চরিত্রের কোন ক্ষতি হয়নি। শুধু ভ্যাকুয়ামের ব্যাগের মধ্য থেকে কোন রকমে বের হওয়ার পর, ধুলা-ময়লায় রেগেমেগে তার এমন অবস্থা হয়েছিল যে দেখে আমি খুব মজা পেয়েছিলাম।
এতটাই মজা পেলাম যে আমি আমার ট্যারান্টুলার সঙ্গে একই কাজ করলাম।
বলাই বাহুল্য যে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুব একটা কার্টুনের মত হয়নি। মাকড়শাটা ছিড়ে টুকরা টুকরা হয়েছিল। অনেক কেঁদেছিলাম, কিন্তু সবই বৃথা। আমার পোষা মাকড়শাটা আমারই ভুলের জন্য প্রান হারাল আর আমার কিছুই করার ছিল না!
আব্বু-আম্মু আমার কৃতকর্মে রেগে বাড়ী মাথায় তুলেছিল কারন ওটা বেশ দামি ছিল। আমাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও বকা দিয়েছিল এবং তারপর থেকে ওরা আমাকে পোষার জন্য কিচ্ছু কিনে দেয় নি। এমনকি সাধারণ গোছের মাকড়শাও না!
আমি দুই কারণে এই গল্পটা শেষ থেকে বলা শুরু করেছি। প্রথম কারনটা পড়তে পড়তেই বুঝতে পারবে। এবং অন্য কারনটা হল:
এটা একটি সত্যি গল্প।
তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে, এই আশা আমি করছি না-আমি নিজেও বিশ্বাস করতাম না যদি না এই গল্পটা আমার নিজের জীবনে ঘটত। এই বইয়ে যা লিখেছি তা সব ঘটেছে-একদম যেভাবে লিখেছি, ঠিক তেমন করেই।
বাস্তব জীবন এমন- বোকার মত কাজ করলে, সাধারনতঃ তার মুল্য দিতে হয়। গল্প অথবা বইয়ের নায়কেরা ইচ্ছেমন যতবার খুশী ভুল করতে পারে। কি করল সেটা কোন বিষয়ই না, কারন শেষে গিয়ে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। নায়করা খারাপ লোকদেরকে হারাবেই, সবকিছু ঠিক করে দেবে আর শেষটা হবে জোস।
বাস্তব জীবনে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে মাকড়শা টেনে নিলে তা মারা যায়। ব্যস্ত রাস্তা না দেখে পার হতে গেলে, গাড়ি ধাক্কা দেয়।গাছ থেকে পড়লে হাড়গোড় ভাংগে।
বাস্তবতা জঘন্য এবং নিষ্ঠুর। নায়ক অথবা সুন্দর সমাপ্তি কিম্বা সব কিছু কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে চিন্তা করে না। বাস্তব জীবনে খারাপ জিনিস ঘটে, মানুষ মারা যায়। লড়াইয়ে হার হয়। মন্দ লোকেরা প্রায়শই জিতে যায়।
আমি গল্পটা শুরুর আগে এই বিষয়টা পরিস্কার করতে চেয়েছিলাম।
আর একটি বিষয়ঃ আমার আসল নাম ড্যাররেন শ্যান নয়। এই গল্পে সবকিছু সত্যি শুধু মাত্র নাম ছাড়া, আমাকে ইচ্ছে করেই তাদের নাম পরিবর্তন করতে হয়েছে কারন…ঠিক আছে, তুমি গল্পের শেষে গেলে নিজেই বুঝতে পারবে।
আমি একটাও আসল নাম ব্যাবহার করিনি, না আমার নিজের, না আমার বোনের, না আমার বন্ধুদের না, আমার টিচারদের। কারোর ই না। এমনকি আমি আমার নিজের শহরের বা দেশের নামও বলব না। বলার সহস আমার নেই।
যা ই হোক, ভূমিকার জন্য এ টুকুই যথেষ্ট। যদি তোমরা তৈরি থাকো, চলো শুরু করা যাক।যদি এটা বানানো গল্প হত, তাহলে এর শুরুটা হতো এক ঝড়ের রাতে, পেচার ডাক এবং খাটের নীচে ভয় জাগানিয়া ভুতুড়ে শব্দ নিয়ে।কিন্তু এটা একটি আসল গল্প, তাই আসল শুরুটা দিয়েই শুরু করতে হবে।
গল্পের শুরুটা টয়লেটে।
চলবে…
Somewhat Calm
Calm comes in the strangest ways. Like when you expect a storm.
I haven’t been able to study much for the last few days. Five days it has been, to be precise, since I have done any meaningful school work. I have a paper due on the 19th which requires me to read a recent publication in immunology and paraphrase the work “but not paraphrasing what the authors wrote”. Figure.
So while fidgeting around with my conscience and unease to somehow dupe them into allowing this paraphrasing of another person’s work and securing thirty percent of my course grade for it and all the while miserably failing at the attempt, I decided to add a grandfather for the heroine in my first big work of literature. I am not sure what to call this mammoth “story” that I plan to write yet, but I have named the word file “wishes” for no precise reason. I did write in a few dialogues between the heroines grandfather who is an ex- King: should such a thing ever exist. It is a fantasy novel, you see.
I “searched” for the word file to put in the grandfather’s character. There were a lot of things that turned up. The Elephant Vanishes was one of them.
“Very interesting. I do not remember having such a thing in my laptop.” I whispered to myself and thence I double clicked.
There was a preface by an unnamed person. Then there was a story called The Second Bakery Attack. Then I went on to read Lederhosen and finally Barn Burning. I decided to skip quite a few in the middle since my mother was supervising the progress of this “strictly paraphrasing prohibited” paraphrasing work.
Murakami’s three somewhat settlingly-unsettling short stories have restored the calm in me that I needed to be able to start this excruciating, abhorrent, yet required process. I will now proceed.
ありがとう, 村上 せんせい.